কৃষি প্রধান দেশে চাল আমাদের নিত্যকার জীবনের এক অপরিহার্য উপাদান। আমাদের প্রতিদিনকার মোট ক্যালরির বেশিরভাগ অংশই আসে চাল বা ভাত থেকে। ভাতের জন্য আমরা অনেক ধরনের চাল বেছে নিলেও বগুড়ায় উৎপাদিত ব্রি-৪৯ জাতের চালের ভাত ঝরঝরে, সুস্বাদু, দেখতে সাদা এবং লম্বাটে ধরনের হওয়ায় এটি জায়গা করে নেয় পছন্দের তালিকায়। এই চাল আপনাকে দিবে ফাইবার বা খাদ্য আঁশ যা আপনার শরীরকে রাখবে সুস্থ্য ও রোগমুক্ত।
আমন (Aman) মূলত অর্ধসেদ্ধ চাল। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমন কোন ধানের নাম নয় বরং এটি একটি মৌসুমের নাম। সব ধানেরই কোন না কোন নাম আছে, তবে অনেকসময় কৃষকের চাষকৃত ধানের জাতের নাম না জানায় মৌসুমের নামে ডেকে থাকেন। এভাবেই আমন ধানের নামকরণ।মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, রাজশাহী, পাবনা সহ বাংলাদেশের আরও অনেক অঞ্চলে এই ধানের চাষ হয়ে থাকে। মূলত এসব অঞ্চলগুলোর নদীর আশেপাশে যে সব জায়গায় পানি জমে থাকে সেসব জমিতে এই ধানের চাষ হয়।
আমনচাল লালচে রঙেরচাল। এর আবরণে লাল রঙের একটি স্তর থাকে। তাই চাল ধোয়ার পানি কিছুটা লালচে বর্ণের হয়।
চাল আমাদের প্রধান দানাদার খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনকার মোট ক্যালরির বেশিরভাগ অংশই আসেচালবা ভাত থেকে। ঝরঝরে, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত চিকন চালের ভাতের জন্য অন্যতম কাটারি-নাজির চাল। কাটারি নাজির চালের ভাত ঝরঝরে এবং সুস্বাদু হয়। রান্নার পরে ভাত সাদা এবং লম্বাটে হয়। তাছাড়া ঝরঝরে, সুস্বাদু এই চালটির দামেও বেশ সাশ্রয়ী। এই চাল আপনাকে দিবে ফাইবার বা খাদ্য আঁশ যা আপনার শরীরকে রাখবে সুস্থ্য ও রোগমুক্ত।
বিরই (Biroi) চাল মূলত এমন এক ধরনেরলাল চালযা আদি জাতেরআমনচাল। এই চাল সাধারণত সিলেটের হাওড় অঞ্চলে চাষ করা হয়। এই অঞ্চলে চাষের বৈশিষ্ট্য হলো এদিকের ধান পুরোপুরি প্রাকৃতিক পরিবেশে চাষ করা হয়। ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাব মুক্ত।
লাল চিড়া (Lal chira) আমাদের গ্রাম-বাংলার বেশ পরিচিত একটি খাবার। এই খাবারটি যেমন পুষ্টিকর তেমনি বেশ কয়েকভাবেই গ্রহণ করা যায়। মূলত বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত এবং নেপালে চিড়া বেশ পরিচিত একটি খাবার। বরিশালের ভোজনধানেরচিড়ানিয়ে এসেছে খাস ফুড। নরম ও স্বাদে খানিকটা মিষ্টি এই চিড়ার বিশেষত্বই হচ্ছে এই প্রস্তুত প্রকৃয়ায়। এটি ভাজতে ব্যবহার করা হয় না কোন মেশিন। বরং, হাতে ভাজা চিড়াই গ্রাহকদের সরবরাহ করছে খাস ফুড।
বুটের ডাল (Booter Dal) দক্ষিণ এশিয়ায় বেশ জনপ্রিয় একটিডাল। ডালকে প্রানিজআমিষের উত্তম বিকল্প বলেও বিবেচনা করা হয়। এমনকি যাদের রেড মিট খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে তাদের জন্যেও এটি বেশ উপযোগী খাবার।